টাইটানিক: ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা, নাকি রচিত এক গভীর ষড়যন্ত্র?
লিখেছেন: Rohosshogroho Team | প্রকাশিত: [13/05/205]
১৯১২ সালের ১০ই এপ্রিল, ইংল্যান্ডের সাউদ্যাম্পটন বন্দর থেকে যাত্রা করেছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ও "অডুবীয়" জাহাজ—RMS Titanic। চার হাজার টন ওজনের এই ভাসমান রাজপ্রাসাদটিকে বলা হয়েছিল “God Himself could not sink this ship”— ঈশ্বর নিজেও ডুবাতে পারবেন না।
কিন্তু ইতিহাসের নিষ্ঠুর ব্যতিক্রম ঘটেছিল ঠিক চারদিন পরে।
১৪ই এপ্রিল রাতে, হিমশীতল আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে বরফখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ডুবে যায় এই দানবাকৃতি জাহাজ। মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০০ জন যাত্রীর।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে।
কিন্তু অনেক গবেষক ও ষড়যন্ত্র বিশ্লেষকের দাবি—টাইটানিকের এই ডুবে যাওয়া শুধু দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত এক চক্রান্ত।
একটি আগুন যা গোপন রাখা হয়েছিল!
জাহাজটি রওনা দেওয়ার আগেই এর ইঞ্জিন রুমে একটি আগুন জ্বলছিল।
সেই আগুন চলেছিল একটানা প্রায় ১০ দিন, যার কারণে জাহাজের স্টিলের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই তথ্য যদিও আজ অনেকের জানা, কিন্তু সেই সময়ে সংবাদপত্র কিংবা কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছিল।
কেন?বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানির উপর ছিল চূড়ান্ত চাপ— সময়মতো জাহাজ ছাড়তে হবে, যেকোনো মূল্যে।
জাহাজ বদলের রহস্য: টাইটানিক নাকি অলিম্পিক?
White Star Line কোম্পানির তৈরি একই ধাঁচের দুটি জাহাজ—RMS Titanic ও RMS Olympic।তাদের চেহারা প্রায় অভিন্ন।
অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, Titanic নামের জাহাজটি আসলে ছিল Olympic, যার আগেই এক দুর্ঘটনায় ক্ষতি হয়েছিল।
বীমা সংস্থার কাছ থেকে টাকা তুলতে Olympic-কে Titanic সেজে পাঠানো হয় এবং পরিকল্পিতভাবে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
যদি সত্যি হয়, তবে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতারণা ঘটেছিল সমুদ্রের মাঝে।
J.P. Morgan এর আচরণ ছিল সন্দেহজনক
Titanic-এর মালিকানাধীন কোম্পানি ছিল J.P. Morgan এর।তিনি নিজেই এই জাহাজে থাকার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করেন।
তিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যাংকার, এবং Titanic-এ তাঁর প্রতিপক্ষরা ছিলেন—যেমন John Jacob Astor, Benjamin Guggenheim, Isidor Straus।
এদের সবাই মারা যান জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে।এই তিনজন ছিলেন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরোধী।
এক বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয় U.S. Federal Reserve — যা অনেকের মতে আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গোপন নিয়ন্ত্রক।
লাইফবোট কম ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে?
Titanic-এ লাইফবোট ছিল মাত্র ২০টি, যা সর্বোচ্চ ১১৭৮ জন যাত্রীকে বাঁচাতে সক্ষম।
তখন onboard ছিল ২২০০-এর বেশি মানুষ।
প্রশ্ন হলো, কেন এমন একটি 'অডুবীয়' জাহাজে নিরাপত্তার এমন অবহেলা?
কি এটা আত্মবিশ্বাস না ষড়যন্ত্র?
কাছেই ছিল SS Californian—তবুও সাহায্য এল না!
SS Californian নামের আরেকটি জাহাজ কাছেই ছিল।তারা Titanic-এর distress signal পায়নি এমন দাবি করলেও, ঐ রাতের আবহাওয়ার ও রেডিও রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়— সাহায্য করা সম্ভব ছিল।অনেকে মনে করেন, ওই জাহাজও ছিল পরিকল্পনার অংশ।যদি Titanic ডুবে না যায়, তাহলে তারা দ্রুত এসে যাত্রীদের উদ্ধার করত।কিন্তু পরিকল্পনা ভুল হয়ে যাওয়ায় তারা কিছুই করেনি।
বিপর্যয়ের পরও গোপন তথ্য লুকানোর চেষ্টা
Titanic ডুবে যাওয়ার পরে ব্রিটিশ ও আমেরিকান তদন্ত কমিশন গঠিত হয়।কিন্তু সেই তদন্তে অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়।
বিশেষ করে স্টিলের গঠন, আগুন, জাহাজ বদল— এসব কোনো দৃষ্টিকোণে আনা হয়নি।প্রভাবশালীদের চাপেই কি এসব ঘটেছিল?
শেষ কথা: সত্য এখনো সমুদ্রের তলায় শুয়ে আছে
Titanic আজও আটলান্টিকের গভীরে, ১২,৫০০ ফুট নিচে নিস্তব্ধ হয়ে শুয়ে আছে।তার পেটের ভেতর লুকিয়ে আছে শত শত মানুষের স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী।আর লুকিয়ে আছে ইতিহাসের সেই প্রশ্ন—
“এই দুর্ঘটনা কি প্রকৃতিই ঘটিয়েছে?
না কি মানুষ নিজেই এক ভয়ঙ্কর ইতিহাস লিখে গেছে, অর্থ আর ক্ষমতার খাতিরে?”
আপনি কি বিশ্বাস করেন, টাইটানিক ছিল শুধুই দুর্ঘটনা?
নাকি এটা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।
আরো রহস্য জানতে ভিজিট করুন:
https://rohosshogroho.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন